বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, 'ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা ঠেকাতে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বাজুস। সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করা হচ্ছে। যাতে কোথাও কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ীর হাতে ক্রেতা ঠকানোর ঘটনা না ঘটে। সারা দেশে ৪০ হাজার পরিবার এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
গুটি কয়েক লোকের জন্য আমরা এ ব্যবসা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। তাই সারা দেশের আনাচকানাচে যেসব স্বর্ণ ব্যবসায়ী আছেন তাদের তালিকা তৈরি করে জুয়েলার্স সমিতির আওতায় আনা হচ্ছে। '
আজ রবিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের স্বর্ণপট্টির একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, 'বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিদেশ চলে যেতেন না। তিনি বেঁচে থাকলে স্বর্ণের ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে অনেক আগে হতো। তাঁরই সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে আজকে যেমন বাংলাদেশ আলোকিত হচ্ছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা স্বর্ণ নীতিমালার নির্দেশনা দিয়ে, বাস্তবায়ন করে পাস করে দিয়েছেন। আগামী দিনে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। দেশে স্বর্ণের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে। দেশের তৈরি উৎপাদিত গয়না বিদেশে রপ্তানি করা হবে। '
ডা. দিলীপ বলেন, 'স্বর্ণ নীতিমালা পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে জুয়েলারি শিল্পের দীর্ঘদিনের কলঙ্কের টিপ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা চোর, চোরাকারবারি, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কোনো উৎস নেই―এসব কালিমার টিপ প্রধানমন্ত্রী মুছে দিয়েছেন। '
সভায় অন্যদের মধ্যে বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের সদস্যসচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো. রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি মনিটারিং সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং সদস্য রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ জেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ধ্রুবলাল বসু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমীন হুসাইন, খুলনা বাজুসের সভাপতি সমরেশ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক শংকর কুমার কর্মকার, কোটালীপাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার কর্মকার বক্তব্য দেন।
মতবিনিময়সভায় সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ বাজুস আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান। মতবিনিময়সভা শেষে তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি ও তিন সদস্যবিশিষ্ট আপিল কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে নেতৃবৃন্দ বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।