শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বাজুস ফেয়ার ২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সায়েম সোবহান বলেন, চোরাচালান বন্ধ ও কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট-ট্যাক্সে বিশেষ সুবিধা পেলে ভারতসহ অনেক দেশকেই পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এছাড়া চোরাচালান বন্ধে আইন পরিবর্তনের কথাও জানান তিনি।
জমে উঠেছে এবারের বাজুস ফেয়ার। মেলায় জুয়েলারি শিল্পের ৫০টি প্রতিষ্ঠান মেলে ধরেছে এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের সোনা ও ডায়মন্ডের নানা অলংকার। যেখানে মিলছে মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন অফারে অলংকার কেনার সুযোগ।
ক্রেতারা বলেন, স্বাভাবিক দামে জুয়েলারি কেনা সম্ভব হয় না। তবে মেলায় অফার পাওয়া যাচ্ছে। আর স্টল বেশি হওয়ায় মিলছে পছন্দ অনুযায়ী কেনার সুযোগ।
এদিকে বিক্রি ও প্রচারণায় ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, বাংলাদেশের সোনা শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে থেকেও স্টল এসেছে। এতে আগামীতে আয়োজন আরও ভালো হওয়ার আশা তাদের।
এসময় আগামীর বাংলাদেশে জুয়েলারি শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, জুয়েলারি একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতে দেশিয় বাজারকে বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে জনবল ও দক্ষতা রয়েছ। এজন্য এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে জনবল ও দক্ষতার ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
আর অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী কথা দিলেন ইকোনমিক জোনের আদলে সোনা শিল্পের জন্য বিশেষ অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ করবে সরকার।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ইকোনমিক জোনের আদলে সোনা শিল্পের জন্য বিশেষ অঞ্চল গড়ে তুলতে বাজুস ও বসুন্ধরা গ্রুপে সঙ্গে কাজ করবে সরকার।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চলবে এ মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ জুয়েলারি মেলা। মেলার প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের জন্য লাগবে না কোনো প্রবেশমূল্য।
দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা এই মেলায় রয়েছে ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল, যেখানে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
বর্তমানে ৩৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প।